মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি :
ব্যাটারি চালিত অবৈধ যান্ত্রিক রিক্সা ও টমটমের গ্যাঁড়াকলে গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়া প্রত্যন্ত জনপদ। দিন দিন ব্যাপক হারে বেড়েই চলছে এসব যানবাহন। কোন প্রকার ড্রাইভিং প্রশিক্ষন ছাড়াই অর্থাভাবে পড়ে উঠতি প্রজন্মের অল্প বয়সী যুবকরা রিক্সা ও টমটম চালাচ্ছে। যার ফলে, গ্রামীন সড়ক – উপসড়কেই প্রায় সময় ঘটে চলছে হরেক রকমের দূর্ঘটনা । মালিকদের যানবাহন ভাড়া ও বৈদ্যুতিক চার্জের অর্থ জোগাড় করতে চালকরা বেপরোয়া গতিতে গাড়ী চালাতে দেখা যায় । আবার অনেকেই অগোচরে চার্জ দিচ্ছে । বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি ও গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়া এলাকায় অসংখ্য টমটম ও যান্ত্রিক রিক্সা রয়েছে ।
জানা যায়, এসব যানবাহনের কারনে জনবহুল স্থানজুড়েই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়ে থাকে। এ চালকরা নিয়ম কানুন না মেনেই দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছে গাড়ী। আসলেই তাদের সাইট কোনটা তারা সেটিও জানেনা। বিভিন্ন এনজিও সংস্থা কাছ থেকে দাদন নিয়ে বা লোকজনের কাছ থেকে ধার করা টাকা নিয়ে নতুন টমটম বা অটোরিকশা নিয়ে কোন প্রকার প্রশিক্ষনবিহীন ভাবে মহাসড়ক কিংবা গ্রামীন সড়কে নামিয়ে দেয়। যার কারনে যত্রতত্র স্থানে নানা সময়ে দূর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকে এসব চালকরা। প্রতিনিয়ত গর্জনিয়া বাজারে ত্রিমুখী পয়েন্টে অসহনীয় যানজট চোখে পড়ে। গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন,রাজনৈতিক নেতাদের ঝানজট নিরসনে তৎপরতা বৈধ ও অবৈধ চালকরা মনছেনা। সম্প্রতি এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশে দু’এক দিন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল সিকদার ও প্যানেল চেয়ারম্যন নুরুল আবছার তৎপরতায় চালানোর পরেও নিরসন হচ্ছেনা এসব এলাকার যানজট।
তবে পথচারীরা জানান, বাজার এলাকায় অবিলম্বে ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ দিয়ে যানজটমুক্ত রাখার আহবান জানান। সচেতন মহলের দাবী গাড়ি পার্কিং ও ষ্টেশন করা হলে যানজটমুক্ত করা সম্ভব। গর্জনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিউল আলম জানান কিছুদিন পূর্বে গর্জনিয়া বাজারের পূর্ব পাশে ডাক বাংলো এলাকায় টমটম অপর আরেকটি টমটমকে ওভারটেক করতে গিয়ে ধাক্কা লেগে এক প্রাইমারী স্কুলের ২য় শ্রেণী ছাত্রী গুরুত্বর আহত হন। এভাবে বৃহত্তর এলাকার বিভিন্ন স্থানে টমটম বা অটোরিকশার ধাক্কায় বহুজন আহত হয় এবং অনেকে পঙ্গুত্ব বরন করেন। ১০ দিন আগে নতুনপাড়ার ছৈয়দের স্কুল পড়ুয়া ছেলে টমটমের ধাক্কায় পড়ে গুরতর আহত হয়ে বর্তমানে চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন মৃত্যুর সাথে পান্জা ও লড়ছে।
এলাকাবাসি জানান অদক্ষ,আনাড়ী ও অল্প বয়সী চালকরা ইতোমধ্যে অনেক দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন। যাতে করে, অনেকে ক্ষতিপূরন দিয়ে পুষিয়ে দিচ্ছে। গর্জনিয়া বাজারসহ জনবহুল স্থানে এসব ব্যাটারী চালিত যানবাহনের বিরুদ্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন এখন গনদাবীতে পরিনত হয়ে উঠছে । তাই এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উদ্বর্তন কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ ও কামনা করেন সচেতন এলাকাবাসী।